স্বদেশ ডেস্ক:
জাতিসংঘ মিশনে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারের করা প্রস্তাবে সায় দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে এ সম্মতি দেওয়া হয়। পরে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম বলেন, ইউএন মিশনের বিষয়টি নির্ভর করে যে দেশে তারা যাবে এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে চাহিদা প্লেস করার ওপর। আমরা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সুযোগটা পেতে পারি সে জন্য জাতিসংঘে আমাদের স্থায়ী প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আলী আজম আরও বলেন, প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবেও সম্মতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাসপাতাল করার জন্য তিনটি বিভাগ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। ইতোমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেয়েছি তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এটি নির্মাণ করার জন্য, কার্যক্রম চলমান।
কোভিড মহামারীর মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতেও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র সচিব বলেন, ‘কোভিডের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য সব সময় একই রকম। এখন ওমিক্রন এসেছে। এটির সিভিয়ারিটি কম থাকলেও ছড়াচ্ছে খুব বেশি। এ কারণে জেলা প্রশাসকরা আগে যেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেভাবেই যেন এখনো সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে পরিচালিত হয়।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ মিশনে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার। প্রস্তাবের পক্ষে তিনি বলেছেন, বর্তমানে জাতিসংঘ মিশনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীসহ পুলিশ ও আনসারের সদস্যরা কাজ করছেন। এ ক্ষেত্রে আন্তঃবাহিনী সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সুতরাং জাতিসংঘ মিশনে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তঃবাহিনী সমন্বয়পূর্বক জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের সেবার মান ও সুনাম বাড়বে।